আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এমন দ্বীন দান করেছেন, যাতে বস্তুত কোনো কাঠিন্য ও জটিলতা নেই। কুরআন মজীদের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদেরকে এমন কোনো বিধান পালনে বাধ্য করিনি, যা তোমাদের সাধ্যের বাইরে। আমার সকল বিধান তোমরা পালন কর। তোমাদের রান্না-বান্না, পানাহার, অতিথি-আপ্যায়ন, বিশ্রাম, মোটকথা দুনিয়ার যাবতীয় কাজ ইবাদতে পরিণত হবে। সঠিক নিয়তে, সঠিক পন্থায় এ কাজগুলো সম্পাদন করা হলে তা ইবাদত হয়ে যাবে। এতই সহজ করে দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। পরিশেষে আপনাদের খেদমতে কিছু আবেদন করছি। দেখুন ভাই, রসমী ওয়াজ-নসীহতে কোনো ফায়দা নেই। তা কেবল কিছু সময়ের জন্য বসা আর ওয়াজ শেষে কাপড় ঝেড়ে উঠে যাওয়া। ওয়াজ-নসীহতে ফায়দা তখন হবে যখন আমরা চিন্তা-ভাবনা করব এবং আমাদের ভবিষ্যত জীবন উন্নত করতে সচেষ্ট হব। আমি আপনাদের নিকট কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করছি। এসবের উপর আমল করতে চেষ্টা করুন, ইনশাআল্লাহ এর বরকতে আল্লাহ তাআলা আমাদের জীবনের ধারা পরিবর্তন করে দিবেন। সর্বপ্রথম কথা হল, নিজের দৈনন্দিন জীবনের চব্বিশ ঘণ্টা থেকে কিছু সময় দ্বীনী ইলম অর্জনের জন্য নির্ধারণ করুন। প্রত্যেকের আলেম হওয়া জরুরি নয়। ৮-১০ বছর মাদরাসায় ভর্তি হয়ে দরসে নেযামীর পাঠ সমাপ্ত করা সকলের প্রয়োজন নেই। তবে এতটুকু ইলম অর্জন করা প্রতিটি নারী ও পুরুষের জন্য আবশ্যকীয়-ফরয, যা একজন মুসলমানের ইসলামী জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজন। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য-ফরয। অর্থাৎ যতটুকু ইলম অর্জন করলে মানুষ দ্বীন অনুযায়ী জীবন যাপন করতে পারে-এতটুকু ইলম অর্জন করা ফরযে আইন। কোনো মাদরাসায় ভর্তি হয়ে তা অর্জন করাও জরুরি নয়। আলহামদুলিল্লাহ, প্রায় সকল ভাষায় ওলামায়ে কেরাম এমন পঠনসামগ্রী প্রস্তুত করে দিয়েছেন, যা অধ্যয়ন করে অতি সহজেই ইলমে দ্বীন লাভ করা যায়। এটা কঠিন কিছু নয়। তাই চব্বিশ ঘণ্টা থেকে কিছু সময় বের করুন। অন্তত আধা ঘণ্টাই বের করুন। এবং তা যত্নের সঙ্গে ব্যয় করুন। যেন দ্বীনের অপরিহার্য বিষয়গুলোর ইলম এ সময়ে লাভ করা যায়।
অনেক কাজই আমরা করি। অথচ তা সুন্নত তরীকায় করলে কোনো কষ্ট-জটিলতা নেই। অতিরিক্ত সময়ও ব্যয় হয় না। আলাদা কোনো মেহনত করারও প্রয়োজন নেই। শুধু একটু মনোযোগ প্রয়োজন। কেবল অমনোযোগিতা ও অবহেলার কারণেই এসব সুন্নত থেকে আমরা বঞ্চিত হই। এজন্য ‘উসওয়ায়ে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ কিতাবটি অত্যন্ত চমৎকার কিতাব। এরপর আল্লাহ তাআলা তাওফীক দিলে ‘বেহেশতী যেওর’ অধ্যয়ন করা যেতে পারে। এতে দ্বীন ও দুনিয়ার প্রয়োজনীয় অনেক বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে। এই তিনটি কিতাব অধ্যয়ন করলে একজন মুসলমানের অপরিহার্য পরিমাণ ইলম অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। এ কিতাবগুলো নিজেও পড়ুন এবং সন্তানদেরকেও শামিল করার চেষ্টা করুন। যেন তারাও দ্বীনী ইলম অর্জন করতে পারে। দ্বিতীয় কথা এই যে, এসব কিতাবের পাশাপাশি কিংবা এগুলোর পর সাহাবায়ে কেরাম এবং বুযুর্গানে দ্বীনের জীবন ও চরিত্র অধ্যয়ন করুন। এতে অনেক উপকার। হযরত মাওলানা ইউসুফ রাহ.-এর ‘হায়াতুস সাহাবা’ অধ্যয়ন করা যেতে পারে। এটিরও বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তেমনিভাবে শায়খুল হাদীস মাওলানা যাকারিয়া রাহ.-এর ‘ফাযায়েলে আমাল’ও অধ্যয়ন করতে পারেন। এ কিতাবেরও বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়। এসব কিতাব নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন অল্প করে হলেও পড়ুন। কোনোদিন যেন ছুটে না যায়। সবশেষে আসুন, সবাই মিলে আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করি, হে আল্লাহ! আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে গিয়েছি। হে আল্লাহ! আমরা আপনার সন্তুষ্টি মোতাবেক জীবন যাপন করতে চাই। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে হিম্মত দান করুন, উদ্দীপনা দান করুন এবং তাওফীক দান করুন। আমাদের আমল-আখলাকে যেসব ত্রুটি রয়েছে, হে আল্লাহ! আপনি তা সংশোধন করে দিন। প্রতিদিন হৃদয় থেকে আল্লাহ তাআলার দরবারে এই প্রার্থনা করুন। আমি নিজ থেকে বলছি না। হযরত হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাহ.বলেছেন, চল্লিশ দিন আমল করে দেখুন, ইনশাআল্লাহ জীবনে পরিবর্তন আসবে। চল্লিশ দিন দুআ করে দেখুন; এটি সাধারণ কোনো দুআ নয়; বরং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দুআ। এর উপকারিতাও অনেক বেশি। এর মাধ্যমে বহু মানুষের জীবনে পরিবর্তন এসেছে। আমার নিজেরও অনেক ঘটনা আছে, আমি নিজেও এই দুআর উপকারিতা প্রত্যক্ষ করেছি। আপনাদের কাছে প্রতিদিন শোয়ার পূর্বে আধা ঘণ্টা সময় চাই, যে সময় এই কিতাবগুলো অধ্যয়ন করবেন এবং অধ্যয়ন শেষে আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করবেন। এরপর যা কিছু জানা হল পরবর্তী দিনের শুরু থেকেই সে অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করুন। (এ সময় কেউ দুআর বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পুনরায় বলেন,) এভাবে দুআ করুন যে, হে আল্লাহ, আমরা আপনার দ্বীন অনুযায়ী এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তালীম অনুযায়ী জীবন যাপন করতে চাই, কিন্তু আমাদের নফস আমাদেরকে ধোকা দেয়, শয়তান আমাদেরকে ধোকা দেয়। হিম্মত হয় না, সাহস হয় না। হে আল্লাহ, আমাদের মস্তিষ্ক ও অন্তর আপনার হাতে। শয়তান ও নফসও আপনার অধীন। হে আল্লাহ, এদের ধোকা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন এবং আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তালীম মোতাবেক জীবন যাপনের তাওফীক দান করুন। প্রতিদিন এই দুআ করুন এবং কিতাবগুলো অধ্যয়ন করুন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলার রহমতে আশা করা যায় যে, জীবনে পরিবর্তন আসবে, জীবন সুন্দর হবে। উপরোক্ত সকল কাজের পাশাপাশি মৃত্যুকেও প্রতিদিন স্মরণ করুন-একদিন মৃত্যু হবে, আল্লাহ তাআলার সামনে দণ্ডায়মান হতে হবে। কুরআন মজীদের আয়াত واما من خاف مقام ربه ونهى النلفس عن الهوى فان الجنة هى المأوى (তরজমা) ‘যে স্বীয় প্রতিপালকের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে জান্নাতই হবে তার আবাস।’ সম্পর্কেও একটু চিন্তা করুন। তাহলে আল্লাহ তাআলার রহমতে সুফল হবে ইনশাআল্লাহ । এরপর আপনার চাকরি-ব্যবসা, আয়-উপার্জন, জীবিকা, বাসস্থান, আরাম-আয়েশ ইত্যাদি সবকিছু আল্লাহর নিকট হালাল হবে এবং আল্লাহর রহমতে এগুলোও ইবাদতে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা চান না যে, আপনারা অনাহারে থাকুন, কষ্ট-পেরেশানির সম্মুখীন হন। তবে সর্বাবস্থায় একটি পথেরই অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) আমি পৃথিবীর সকল বস্তু তোমাদের জন্যই সৃষ্টি করেছি। তোমরা তা ব্যবহার কর তবে আমাকে ভুলে যেও না। যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যার দিকে তোমাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে তাকে ভুলে যেও না। মরহুম আকবর এলাহাবাদী বলেছেন, অর্থ : তোমাদের কলেজে পড়া, পার্কে বেড়ে ওঠা/ধুলায় উড়ে বেড়ানো আর দোলনায় দোল খাওয়া সবই বৈধ।/তবে শুধু অধমের একটি কথা স্মরণ রেখো/আল্লাহ তাআলাকে এবং নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যেও না। শুধু এতটুকুই কাজ। মানুষ যদি এতটুকু কাজ করে এবং হালাল-হারামের বিধান মেনে চলে তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে দুনিয়ার কোনো কাজেই বাধা থাকবে না। আল্লাহ তাআলা স্বীয় অনুগ্রহে আমাদের সকলকে এ কথাগুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন এবং আমাদের জীবনের ধারা পরিবর্তন করে দিন। আমীন।
আমি কয়েকটি কিতাবের পরামর্শ দিচ্ছি :
- ১. হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রাহ.-এর ‘ইসলাহী নেসাব’। শুনেছি, বাংলা ভাষায়ও এর অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এটি সংগ্রহে রাখুন। প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়ুন এবং সন্তানদেরকেও পাঠ করে শোনান।
- ২. ‘উসওয়ায়ে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।’ এ কিতাবটিরও বাংলা অনুবাদ হয়েছে। এতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নতসমূহ অধিক পরিমাণে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি কাজের সুন্নত তরীকা বলে দেওয়া হয়েছে। দেখুন, অনেক কাজই আমরা করি। তা সুন্নত তরীকায় করলে কোনো কষ্ট-জটিলতা নেই, কোনো পেরেশানী নেই। অতিরিক্ত সময়ও ব্যয় হয় না। আলাদা কোনো মেহনত করারও প্রয়োজন নেই।
অনেক কাজই আমরা করি। অথচ তা সুন্নত তরীকায় করলে কোনো কষ্ট-জটিলতা নেই। অতিরিক্ত সময়ও ব্যয় হয় না। আলাদা কোনো মেহনত করারও প্রয়োজন নেই। শুধু একটু মনোযোগ প্রয়োজন। কেবল অমনোযোগিতা ও অবহেলার কারণেই এসব সুন্নত থেকে আমরা বঞ্চিত হই। এজন্য ‘উসওয়ায়ে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ কিতাবটি অত্যন্ত চমৎকার কিতাব। এরপর আল্লাহ তাআলা তাওফীক দিলে ‘বেহেশতী যেওর’ অধ্যয়ন করা যেতে পারে। এতে দ্বীন ও দুনিয়ার প্রয়োজনীয় অনেক বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে। এই তিনটি কিতাব অধ্যয়ন করলে একজন মুসলমানের অপরিহার্য পরিমাণ ইলম অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। এ কিতাবগুলো নিজেও পড়ুন এবং সন্তানদেরকেও শামিল করার চেষ্টা করুন। যেন তারাও দ্বীনী ইলম অর্জন করতে পারে। দ্বিতীয় কথা এই যে, এসব কিতাবের পাশাপাশি কিংবা এগুলোর পর সাহাবায়ে কেরাম এবং বুযুর্গানে দ্বীনের জীবন ও চরিত্র অধ্যয়ন করুন। এতে অনেক উপকার। হযরত মাওলানা ইউসুফ রাহ.-এর ‘হায়াতুস সাহাবা’ অধ্যয়ন করা যেতে পারে। এটিরও বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তেমনিভাবে শায়খুল হাদীস মাওলানা যাকারিয়া রাহ.-এর ‘ফাযায়েলে আমাল’ও অধ্যয়ন করতে পারেন। এ কিতাবেরও বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়। এসব কিতাব নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন অল্প করে হলেও পড়ুন। কোনোদিন যেন ছুটে না যায়। সবশেষে আসুন, সবাই মিলে আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করি, হে আল্লাহ! আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে গিয়েছি। হে আল্লাহ! আমরা আপনার সন্তুষ্টি মোতাবেক জীবন যাপন করতে চাই। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে হিম্মত দান করুন, উদ্দীপনা দান করুন এবং তাওফীক দান করুন। আমাদের আমল-আখলাকে যেসব ত্রুটি রয়েছে, হে আল্লাহ! আপনি তা সংশোধন করে দিন। প্রতিদিন হৃদয় থেকে আল্লাহ তাআলার দরবারে এই প্রার্থনা করুন। আমি নিজ থেকে বলছি না। হযরত হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাহ.বলেছেন, চল্লিশ দিন আমল করে দেখুন, ইনশাআল্লাহ জীবনে পরিবর্তন আসবে। চল্লিশ দিন দুআ করে দেখুন; এটি সাধারণ কোনো দুআ নয়; বরং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দুআ। এর উপকারিতাও অনেক বেশি। এর মাধ্যমে বহু মানুষের জীবনে পরিবর্তন এসেছে। আমার নিজেরও অনেক ঘটনা আছে, আমি নিজেও এই দুআর উপকারিতা প্রত্যক্ষ করেছি। আপনাদের কাছে প্রতিদিন শোয়ার পূর্বে আধা ঘণ্টা সময় চাই, যে সময় এই কিতাবগুলো অধ্যয়ন করবেন এবং অধ্যয়ন শেষে আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করবেন। এরপর যা কিছু জানা হল পরবর্তী দিনের শুরু থেকেই সে অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করুন। (এ সময় কেউ দুআর বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পুনরায় বলেন,) এভাবে দুআ করুন যে, হে আল্লাহ, আমরা আপনার দ্বীন অনুযায়ী এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তালীম অনুযায়ী জীবন যাপন করতে চাই, কিন্তু আমাদের নফস আমাদেরকে ধোকা দেয়, শয়তান আমাদেরকে ধোকা দেয়। হিম্মত হয় না, সাহস হয় না। হে আল্লাহ, আমাদের মস্তিষ্ক ও অন্তর আপনার হাতে। শয়তান ও নফসও আপনার অধীন। হে আল্লাহ, এদের ধোকা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন এবং আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তালীম মোতাবেক জীবন যাপনের তাওফীক দান করুন। প্রতিদিন এই দুআ করুন এবং কিতাবগুলো অধ্যয়ন করুন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলার রহমতে আশা করা যায় যে, জীবনে পরিবর্তন আসবে, জীবন সুন্দর হবে। উপরোক্ত সকল কাজের পাশাপাশি মৃত্যুকেও প্রতিদিন স্মরণ করুন-একদিন মৃত্যু হবে, আল্লাহ তাআলার সামনে দণ্ডায়মান হতে হবে। কুরআন মজীদের আয়াত واما من خاف مقام ربه ونهى النلفس عن الهوى فان الجنة هى المأوى (তরজমা) ‘যে স্বীয় প্রতিপালকের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে জান্নাতই হবে তার আবাস।’ সম্পর্কেও একটু চিন্তা করুন। তাহলে আল্লাহ তাআলার রহমতে সুফল হবে ইনশাআল্লাহ । এরপর আপনার চাকরি-ব্যবসা, আয়-উপার্জন, জীবিকা, বাসস্থান, আরাম-আয়েশ ইত্যাদি সবকিছু আল্লাহর নিকট হালাল হবে এবং আল্লাহর রহমতে এগুলোও ইবাদতে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা চান না যে, আপনারা অনাহারে থাকুন, কষ্ট-পেরেশানির সম্মুখীন হন। তবে সর্বাবস্থায় একটি পথেরই অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) আমি পৃথিবীর সকল বস্তু তোমাদের জন্যই সৃষ্টি করেছি। তোমরা তা ব্যবহার কর তবে আমাকে ভুলে যেও না। যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যার দিকে তোমাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে তাকে ভুলে যেও না। মরহুম আকবর এলাহাবাদী বলেছেন, অর্থ : তোমাদের কলেজে পড়া, পার্কে বেড়ে ওঠা/ধুলায় উড়ে বেড়ানো আর দোলনায় দোল খাওয়া সবই বৈধ।/তবে শুধু অধমের একটি কথা স্মরণ রেখো/আল্লাহ তাআলাকে এবং নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যেও না। শুধু এতটুকুই কাজ। মানুষ যদি এতটুকু কাজ করে এবং হালাল-হারামের বিধান মেনে চলে তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে দুনিয়ার কোনো কাজেই বাধা থাকবে না। আল্লাহ তাআলা স্বীয় অনুগ্রহে আমাদের সকলকে এ কথাগুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন এবং আমাদের জীবনের ধারা পরিবর্তন করে দিন। আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন